-->

পোশাক থেকেই শুরু ধর্ষণের, মন্তব্য করার আগে পুরোটা পড়বেন।



ধর্ষণের জন্য পোশাকই দায়ী।
.
মেয়েরা যদি মনে করে নগ্নতা তাদের জন্য ফ্যাশন তাহলে আমিও মনে করি ধর্ষণ ছেলেদের জন্য শারীরিক ব্যায়াম। নগ্নতা রোধ না করে কখনো ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব নয়। এতে যদি আপনারা মনে করেন আমি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির- তাহলে কোনো আপত্তি নেই,তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। মেয়েরা উলঙ্গ হয়ে হাটবে আর ছেলেরা কি চোখ বন্ধ করে রাখবে? একটা মেয়ে চোখের সামনে তার body দেখাবে আর আমাকে বলবে তুমি তোমার চোখ বন্ধ করে রাখো সেটা কি করে হয়?
.
আপনারা নারী স্বাধীনতার নামে নগ্নতাকে স্বাধীনতা দিয়ে দেশটাকে আমেরিকা বানাতে চাইছেন কিন্তু দেশে শুধু আমেরিকান স্টাইল চালু করলে তো হবেনা, আমেরিকান সুযোগসুবিধাও চালু করতে হবে। সেখানে যেমন ছেলেমেয়েরা যখনতখন যেখানে খুশি যৌনচাহিদা মেটাতে পারে। বাংলাদেশেও এরকম সুযোগসুবিধা চালু করুন। ১০০% গ্যারান্টি দিলাম ধর্ষণ হবেনা।
.
আপনারা মেয়েদের বলবেন আমেরিকান স্টাইলে চলার জন্য আর ছেলেদের বলবেন সৌদিআরব স্টাইলে চলার জন্য এটা তো হতে পারেনা!! অনেকে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন, ধর্ষণের জন্য যদি পোশাক দায়ী হয় তাহলে ৫,৭,৯ বছরের ছোটছোট মেয়েরা ধর্ষিত হয় কেন?
এক্ষেত্রেও বলব পোশাক দায়ী।
ধর্ষনের জন্য অবশ্যই পোশাক দায়ি,আমরা আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে তো কখনো দেখিনি ৭/৮ বছরের মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হয়,এখন কেন হচ্ছে?
কারনটা সিম্পল পশ্চিমা সংস্কৃতি আর পার্শ্ববর্তি দেশের সিনামেটিক পোশাক আমাদের সামাজিক এবং চারিত্রিক মুল্যবোধ কে ধ্বংষ করেছে যার প্রভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী থেকে শুরু করে বৃদ্ধা মহিলা এমন কি শিশুরাও এর বলি হচ্ছে,,, সেইম কারনেই নষ্ট চরিত্রের মানুষ রুপি পশুগুলা দুধের স্বাধ ঘোলে মিটাতেই শিশুদের ধর্ষন করছে,,,,।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
.
একজন পুরুষের নগ্ন যুবতী মেয়েদের দেখে কামনাভাব জেগে উঠল কিন্তু সে যখন ওসব যুবতী মেয়েদের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না তখন সে তার কামনাভাব ৫,৭,৯বছরের অবুঝ মেয়েদের দিয়েই মিঠাই। বলা যায় এক্ষেত্রে ওসব ছোটছোট মেয়েগুলোকে বলির পাঁটা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
.
আপনি একজন নায়িকার একটা হট আইটেম গান দেখে আপনার যৌনলালসা জেগে উঠল কিন্তু হাতের কাছে ওই নায়িকাকে পাচ্ছেন না, তখন হাতের কাছে যাকে পাচ্ছেন তাকে দিয়েই আপনার যৌনলালসা পূরণ করছেন।তখন আপনার শিকার হচ্ছে কোনো গরীব ঘরের অসহায় ছোট্ট অবুঝ মেয়েটিও!! অনেকে আবার এটা বলে যে, পোশাক যতটা দায়ী তার চেয়েও বেশি দায়ী নিচু মানসিকতা। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মানসিকতা কখনো এমনি এমনি তৈরি হয়না, মানসিকতা তৈরি হয় পরিবেশ থেকে।
.
কিন্তু বর্তমানে পরিবেশটাই এমন। ফেইসবুকে ঢুকলে সেখানেও উলঙ্গ মেয়ের ছবি, ইন্টারনেটে ঢুকলে সেখানে উলঙ্গ মেয়ের ছবি, পর্ণ সাইট তো আছেই, রাস্তাঘাটে বের হলে সেখানেও মেয়েদের শরীর দেখানো পোশাক। এতকিছুর পরেও মানসিকতা স্বাভাবিক থাকবে কিভাবে?
আপনারা মানসিকতার দোষ দেয়ার আগে সুন্দর মানসিকতা তৈরি হওয়ার মত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করুন।
.
হ্যা ধর্ষণ অবশ্যই জঘন্য একটা জিনিস, কিন্তু ধর্ষণের ক্ষুদাটা জন্ম হয় পোশাক থেকেই।
.
পরিশেষে বলতে চাই, পোশাক পরিবর্তন করুন, মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে যাবে।
বিড়ালের সামনে মাছ রেখে তারপর বলে- এই বিড়াল মাছ কিন্তু খাবি না !! তার মানে মেয়েরা Open করে হাটবে আর ছেলেদের বলবে দেখবি না। শেয়ালে ভরা জঙ্গলে মুরগি কে ছেড়ে দিয়ে যদি বলে শেয়াল মুরগি না খেয়ে নিজের মানসিকতা বদলাতে !! সেটা কি আদৌ সম্ভব ?? কখনো সম্ভব না। কারণ শেয়ালকে বানানো হয়েছে মুরগির প্রতি দূর্বলতা দিয়ে। ঠিক মানুষের উত্তেজনা টা কেও বানানো হয়েছে বিপরীত লিঙ্গের বিশেষ কিছু অঙ্গের প্রতি দূর্বতলতা রেখে। এখন আপনি যদি মানুষের সেই সব বিশেষ অঙ্গ রাস্তায় দেখিয়ে বেড়ান আর বলেন যে আপনার উত্তেজনা জেগে উঠতে পারবে না, নিজের মানসিকতা বদলান। সেটা কি সম্ভব ?? কখনো না !! কেনোনা মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছেই এমন ভাবে। আর মানুষের বিশেষ অঙ্গ গুলা দেখলেই উত্তেজনা জেগে উঠবে বলেই তো বলা হয়েছে মানুষ কাপড় পড়তে আর পর্দা করতে। কিন্তু আপনি সেটা না করে রাস্তায় খোলা মেলা চলবেন আর বলবেন আপনার মানসিকতা বদলান !! এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই না। জৈনক মানবতাবাদীরা বলে থাকে নারীকে ভোগ্য পণ্য ভাবিয়েন না !! আপনারা মানসিকতা বদলান। মেয়েদের মেয়ে নয়, মানুষ ভাবুন। এগুলা শুনলে আমার চরম হাসি পায়। আমি বলি নারী দামী জিনিস। তাদের ইজ্জত অমূল্য। আর এ দামী ও অমূল্য জিনিসটা কে চোরের হাত থেকে বাঁচাতে দরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর সে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পর্দা। গরুর হাটে গিয়ে গরুর লাথি খেয়ে যেমন প্রতিবাদ করার থাকেনা !! একগাদা উশৃঙ্খল পুরুষের মাঝখানে গিয়ে শ্লীলতাহানির পরেও তেমনি কোনো নারীর প্রতিবাদ করা চলেনা। মনে রাখবেন, পর্দা মানেই পরাধীনতা নয়। পর্দা মানে নিরাপত্তা
আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

Facebook